শফিকুল আলম শাহীন : নেত্রকোনার পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় ঝর্না আক্তার (৩৭) নামের এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
বুধবার (২৯মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পূর্বকন্ঠকে ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগ মারকেন্ডা গ্রামের আলম খানের সাথে তারই চাচাত ভাই খোয়াজ খানের পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
ওই বিরোধের জের ধরে গত সোমবার (২৭ মার্চ ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে দুই পক্ষে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের খোয়াজ খানের লোকজন ফিরোজ খা, আরমান খা, আবু বকর ও সিরাজ খাসহ ৮/৯জন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, তার ছেলে তামিম, ঝর্ণা আক্তারের ভাসুর পাপন, দেবরের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সিএনজিযোগে নেত্রকোনা হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে উপজেলার উপলা নামক স্থানে ফের আহতদের উপর হামলা চালিয়ে ঝর্না আক্তারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
আরও পড়ুন... পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় এক ব্যক্তি খুন
গুরুতর আহত অবস্থায় ঝর্না আক্তারকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর বুধবার (২৯মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝর্ণা আক্তার মারা যায়।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম পূর্বকন্ঠকে জানান, মারামারির ঘটনায় বুধবার সকালে নিহতের ভাই নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে খোয়াজ খা, ফিরোজ খা, আরমান খা, আবু বকর ও সিরাজ খাসহ ৯ জনকে আসামী করে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যেহেতু থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছে এখন আমরাই হত্যার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করবো। এ দিকে অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
0 Please Share a Your Opinion.: