পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার পূর্বধলায় দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে ওই স্বামীর বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৫ মার্চ দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৭) গত ১৩ বছর আগে উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের হাতিনাকান্দা গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে রাসিদা বেগমকে (৩১) বিয়ে করেন।
বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় পুরুষ নির্যাতন। অর্থাৎ দাম্পত্য কলহের জের ধরে প্রায়ই স্ত্রী স্বামীকে মারধর করত । এ বিষয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিস হয়। এরই মাঝে তাদের কোলজোড়ে আসে দুইটি ছেলে সন্তান। সন্তানদের কথা ভেবে রাসিদাকে তালাক দেননি রফিকুল ইসলাম। কিন্তু একাধিকবার স্বামী স্ত্রী কর্তৃক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হওয়ায়, নিরুপায় হয়ে রাসিদা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন রফিকুল ইসলাম।
এ সময় রাশিদা তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। তালাকের খবর পেয়ে গত বুধবার দুপুরে রাসিদা বেগম তার বাবার বাড়ি থেকে লোকজন নিয়ে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নির্মাণাধীন বসত ঘর, রান্না ঘর, ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুর করে, বাড়ীর পাশে বেশকিছু গলা গাছ কেটে ফেলেন। এতে রফিকুল ইসলামের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।
রাশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামী আমাকে তুচ্ছ ঘটনায় প্রায়ই শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। কিন্তু সেই নির্যাতনের ঘটনা উল্টো আমার উপর চাপাচ্ছে। রাগ ও কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি ভাংচুর করেছি। এখন আমি নিজ ইচ্ছায় বাবার বাড়িতে বসবাস করছি। আমি কোনো তালাকের কাগজ হাতে পাইনি।
প্রতিবেশী মাইন উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আবু তাহের, আব্দুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান রাসিদা বেগম উশৃঙ্খল প্রকৃতির। সে বিয়ের পর থেকেই স্বামী সংসার শ্বশুর-শাশুড়ির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপসহ শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দরবার শালিস করেও সমাধান হয়নি।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলামের দায়ের করা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0 Please Share a Your Opinion.: