বুধবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৩

উপজেলা চেয়ারম্যানের মহতী উদ্যোগ, স্বেচ্ছা শ্রমে নদীর উপর বাঁশের ব্রিজ

পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : পাশাপাশি দুটি গ্রাম সানকিডোয়ারী ও দুধী।  দুই গ্রামকে বিভক্ত করে রেখেছে একটি নদী।  স্থানীয়দের কাছে এটি কালিহর নদী নামে পরিচিত।  নদীর এপারে দুধী গ্রাম আর ওপারে সানকিডোয়ারী গ্রাম।  নদী পারাপারে নৌকা হলো এই দুই গ্রামসহ আসপাশ এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম।  শুষ্ক মৌসুমে কোনো রকম পারাপার হওয়া গেলেও বর্ষায় কষ্টের শেষ থাকে না। , 


বিশেষ করে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ও বাজারগামী মানুষের।  এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি নদীটির দুধী এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের।  এ জন্য স্থানীয়রা বিগত দুই যুগ ধরে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়েও কোন কাজ হয়নি।  এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগ লাঘবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেতু নির্মাণে এগিয়ে এসেছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন।  তিনি সেখানে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি বাঁশ ও কাঠের সেতু নির্মাণ করেন।,  


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘাগড়া ইউনিয়নের দুধী বাজার সংলগ্ন স্থানে ২০০ ফুট দীর্ঘ একটি সেতু তৈরী করা হয়েছে।  কাঠের তৈরী এ সেতু দিয়ে তিন চাকার বাহন অনায়াসে যাতায়াত করতে পারছে।  কালিহর নদীর উপর সেতু নির্মিত হওয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে এক প্রকার উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।,  


বুধবার (১৯ এপ্রিল) এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সেতুটির আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন।  এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা সুমি আকন্দ, লেখক ও গবেষক আলী আহাম্মদ খান আইয়োব, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আরিফুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী শাহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মিয়া হোসেন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মোখলেছুর রহমান খান ভাসানী, পূর্বধলা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ হাসানুজ্জামান রাফি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার জাহান রাসেল, যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন, ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য হক মিয়া প্রমুখ। ,


উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, অনেকদিন ধরে নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারারণ মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছিলেন।   স্থানীয় কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সাথে কথা বলে সেতু নির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করি।   আশ করি এ সেতুর মাধ্যমে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব হবে।,'  


শেয়ার করুন

0 Please Share a Your Opinion.: