তোবারক হোসেন খোকন,দুর্গাপুর (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে নদীর পানি ঢুকে প্লাবিত হয়ে দেখা দিয়েছে আঙশিক বন্যা। গত সোমবার থেকে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পওয়ায় সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নেতাই নদীর পানি প্রবেশ করে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান, আটলা, নন্দেরছটি, হাতিমারা কান্দা, ভাদুয়া, নাওদারা, জাগিরপাড়া, গাঁওকান্দিয়া ও কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিলকাঁকড়াকান্দা, লোহাচোরা, বন্দকাটুরী, পলাশগড়া, মুন্সিপাড়াসহ বেশকয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মাঠ-ঘাট পানিতে তলিয়ে নিম্নাঞ্চলের ঘর-বাড়ির চার পাশেই জমা হয়ে আছে নদীর পানি। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন গ্রামের কৃষকরা। অন্যদিকে নদীর পানি কমলেও সে পানি প্রবেশ করছে ওই ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের গ্রামে।
স্থানীয়রা বলছেন, বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই চারদিকে পানিতে থইথই করছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার বেশির ভাগ রাস্তাই পানির নিচে। ঘরের চারদিকে পানি আর পানি। কিছু কিছু অঞ্চলে ঘরের মধ্যেও প্রবেশ করেছে নদীর পানি ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে আমাদের।,
গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ইউনিয়নের অনেকগুলো গ্রামেই পানি ডুকেছে ফলে বন্যার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বাড়ি-ঘরের চারপাশেও পানি। যার কারণে মানুষ কিছুটা পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। আরো দু‘একদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে চরম আকার ধারণ করবে এলাকায়। আমরা সব সময়ই খোঁজ খবর রাখছি। যে কোন সমস্যায় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।,
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, গতকাল পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করেছি। আজ প্রায় ২শ জন পারিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হবে। এছাড়াও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যে কোন সমস্যা সমাধান করতে আমরা প্রস্তত রয়েছি।,'
0 Please Share a Your Opinion.: